কথাসাহিত্যের শিল্পরূপ: দৃষ্টিভঙ্গি

অনুবাদ




কথাসাহিত্যের শিল্পরূপ

মূল: ড্যাভিড লজ

অনুবাদ: শাহীনুর ইসলাম


দৃষ্টিভঙ্গি


অবশ্যই ধরে নেয়া যাবে না যে তার (লেডিশিপের) বিরতি অন্য আদেশ বলে যোগ্যতা অর্জন করে নি — বিজয়োল্লাসিত প্রবেশ ও শ্বাসরুদ্ধকর বিরতির যে সময়ে তিনি রূমের সব কিছু –ছাদের অবস্থা থেকে তার কন্যার বুটের আঙ্গুল পর্যন্ত — দেখে নিচ্ছেন বলে মনে হলো। এ জরিপ অভিপ্রায় সমৃদ্ধ ছিলো। মাঝে মাঝে তিনি বসলেন এবং মাঝে মাঝে উদ্বেলিত হলেন, কিন্তু উভয়ক্ষেত্রে তার ভঙ্গি একই রকমভাবে জাঁকালো বাস্তবমুখী ছিলো। নিন্দা করার মতো এত কিছু পেলেন যে আশা করার মতো অনেক কিছু রেখে গেলেন, আর এতটা হিসাব-নিকাশ করলেন যে মনে হলো প্রতিকার ও প্রতিশ্রুতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছেন। তার পরিদর্শনে আসাটা পরিচ্ছদের মতোই ভাল ছিলো; আচরণটা– মিসেস উইক্স যেমন একবার বলেছিলেন– এক জোড়া পর্দার মতোই ভাল ছিলো; কিন্তু সে ছিলো চরমভাবে আসক্ত এক ব্যক্তি — মাঝে মাঝে কদাচিৎ তার সন্তানের সাথে কথা বলতো এবং মাঝে মাঝে তাকে বুক থেকে সরিয়ে নিতো, যেমনটা মিসেস উইক্সও লক্ষ্য করেছেন, উল্লেখযোগ্যভাবে নিচুতে। সব সময় তার ত্রস্ত তাড়া ছিলো, আর বুকটা যত নিচে কাটা হয়েছিলো ততই সেটা বোঝা গেলো তাকে অন্যত্র চাওয়া হয়েছিলো। তিনি সাধারণত একাই প্রবেশ করতেন, কিন্তু মাঝে মাঝে স্যার ক্লোড তার সাথে থাকতো, আর আগের সব সময়টায় এমন কিছু ছিলো না, যার দরুন এসব চেহারা এত আনন্দদায়ক রূপ লাভ করতো যেমনটা তার বেলা করতো, মিসেস উইক্স যেমনটা প্রকাশ করেছেন, সম্মোহিত। “কিন্তু তিনি কি এর অধীনে নন!” স্যার ক্লোড মাকে স্বাভাবিক হাসিতে লুটোপুটি দেওয়ার পর মেজি চিন্তাপূর্ণ অথচ পরিচিত রেফারেন্সে চিৎকার করে বললো। হাস্য আলোড়িত ভদ্রমহিলাদের পুরানো দিনেও তিনি মাকে এত মুক্তভাবে হাসতে শোনেন নি যেমনটা শুনেছেন দাম্পত্য সমর্পণের এসব মুহূর্তে– এত আনন্দ একটা ছোট মেয়েও দেখতে পারতো যে অবশেষে তার অধিকার ছিলো — ছোট একটা মেয়ে যার চিন্তা এখন শুভ লক্ষণ ও ভবিষ্যৎ মজার উপর পুরো সুখী স্বার্থপর ধ্যান।

হেনরি জেমস হোয়াট মেজি নিউ (১৮৯৭)

বাস্তব কোনো ঘটনা একই সাথে একাধিক ব্যক্তির অভিজ্ঞতায় থাকতে পারে, আর সাধারণত তাই হয়। একই ঘটনার উপর উপন্যাসে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থাকতে পারে — কিন্তু একবারে শুধু একটা। আর ঈশ্বরতুল্য ভঙ্গিতে ঘটনা জানান দেয়ার মতো করে “সর্বদর্শী” বর্ণনা রীতি গ্রহণ করলেও এতে সাধারণত শুধু একটা কি দুটো সম্ভাব্য “দৃষ্টিভঙ্গি” থাকার অধিকার লাভ করে যেখান থেকে কাহিনী বলা যেতে পারে এবং ঘটনা যেভাবে সেগুলোকে প্রভাবিত করে তার উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করে। পুরাদস্তুর বস্তুনিরপেক্ষ, পুরাদস্তুর পক্ষপাতহীন বর্ণনা সাংবাদিকতা কিংবা ইতিহাস লিখনে যথাযোগ্য লক্ষ্য হতে পারে, কিন্তু কথাসাহিত্যের গল্পে আমাদের মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব নয় যদি না আমরা জানি সেটা কার গল্প।

যে দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গল্প বলা হয় তা বাছাই করার মতো যুক্তিমূলকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একক সিদ্ধান্ত ঔপন্যাসিককে নিতে হয়, কেননা পাঠক যেভাবে কাল্পনিক চরিত্রসমূহ ও তাদের ঘটনাবলীকে আবেগপূর্ণভাবে ও নৈতিকভাবে সাড়া দেবে তাকে এটি মৌলিকভাবে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যভিচারের কাহিনী — যে কোনো ব্যভিচারের কাহিনী — অবিশ্বস্ত ব্যক্তি নাকি আহত স্বামী বা স্ত্রী নাকি প্রেমিক বা প্রেমিকার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রাথমিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, নাকি কোনো চতুর্থ মহল পর্যবেক্ষণ করেছে — সে অনুযায়ী তা আমাদেরকে ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রভাবিত করবে। প্রধানত চার্লস বোভারির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বর্ণনাকৃত মাদাম বোভারি,  আমরা যেটা জানি তার থেকে বেশ ভিন্ন্ একটা বই হবে।

দৃষ্টিভঙ্গির যথাযথ ব্যবহার ঘটাতে হেনরি জেমস নিপুণ কারিগরের মতো ছিলেন। হোয়াট মেজি নিউ  এ তিনি বহুবিধ ব্যভিচারের কাহিনী উপহার দেন — তালাক ও পুনর্বিবাহের ফলে হালকা বৈধ ব্যভিচারের কাহিনী– এর দ্বারা একান্তভাবে আক্রান্ত কোনো শিশুর চোখে বর্ণনা করেন, কিন্তু তাদের সে ব্যাপকভাবে অনুধাবন করে না। মেজির পিতা-মাতার তালাক হয় যখন তার পিতার সম্পর্ক থাকে তারই পরিচারিকার সাথে, যাকে তার পিতা বিয়ে করে। মেজির মা, ইডা এক তরুণ শুভাকাঙ্খী স্যার ক্লোডকে বিয়ে করে, আর মেজিকে আরেক পরিচারিকা, মিসেস উইক্সের দায়িত্বে রেখে যায়। শীঘ্রই সৎ বাবা-মা প্রেমিক-প্রেমিকা হয়ে যায়। মেজি এসব স্বার্থপর ও অসাধু পূর্ণবয়স্কদের ঝগড়া-ঝাটিতে দাবার ঘুঁটি হিসেবে এবং গোপন প্রণয়ে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। তারা যখন নিজেদের স্বার্থপর সুখের সন্ধানে ছুটছে, তখন সে ভয়ঙ্কর স্কুলরূমে আবদ্ধ থাকে মিসেস উইক্সের সাথে, যে নিজেই স্যার চার্লসের প্রেমে মোহাবিষ্ট এবং শুধু বয়সের দিক দিয়ে পরিণত থাকে।



উদ্ধৃত প্যাসেজটা বইটির প্রথম দিকে রয়েছে, আর ইডার দ্বিতীয় বিয়ের মধুচন্দ্র্রিমার সময় মেজির জীবনের মান উন্নয়ন করতে তার ফাঁকা প্রতিশ্রুতি রয়েছে। গল্পটি মেজির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বর্ণনা করা হয়েছে — কিন্তু তার নিজের কণ্ঠে নয়, আবার শিশুর ডিসকোর্স অনুকরণ করার প্রয়াসের রীতিতেও নয়। নিউ ইয়র্ক সংস্করণে লেখা মুখবন্ধে তার কারণ তিনি ব্যাখ্যা করে গেছেন: “উপলব্ধিকে ভাষান্তর করার জন্য ছোট বাচ্চাদের যত শব্দ থাকে তার চেয়ে তাদের অনেক বেশি উপলব্ধি থাকে: তাদের তাৎক্ষণিক, উৎপাদনযোগ্য শব্দভাণ্ডারের চেয়ে যে কোনো সময়ের জন্য তাদের দৃষ্টি সমৃদ্ধতর, তাদের বোধও অনবরত শক্তিশালী।” তাহলে প্রকরণগত দিক দিয়ে হোয়াট মেজি নিউ হচ্ছে দ্য ক্যাচার ইন দ্য রাই  এর বিরোধী। সহজ-সরল দৃষ্টিকোণ পরিণত রচনাশৈলীতে প্রকাশিত হয়েছে: পরিমার্জিত, জটিল, সূক্ষ্ম।

মেজি যা আপাতগ্রাহ্যভাবে উপলব্ধি করতে পারে না, তা কোনো কিছু দিয়ে বর্ণনা করা যায় না, আর তার নিজের শিশুসুলভ ভাষায় তা বোঝে। স্কুলরূমের শোভাবর্ধন করতে ও মেজির ওয়ারড্রোবের শূন্যতা পূরণ করতে তার মা রোমাঞ্চকর, উদ্যমী প্রস্তাব করে। ইডার দেখতে আসাটা আকস্মিক ও সংক্ষিপ্ত, আচরণ অস্থির ও অননুমেয়। সামাজিক উৎসব ও পোশাক-আশাকে বাহারি সাজ-সজ্জায় সজ্জিত থাকে। নতুম স্বামীর প্রেমে ও নতুন উদ্দীপনায় অনেকটা মজেছে মনে হয়। মেজি সব কিছু ঠিকঠাকমতো পর্যবেক্ষণ করে, কিন্তু করে নিস্পাপভাবে। এখনো সে তার মাকে বিশ্বাস করে, আর আশা নিয়ে “ভবিষ্যৎ কৌতুক” এর দিকে তাকিয়ে থাকে। পাঠক অবশ্য এমন কোনো ভ্রমে থাকে না, কারণ যে অতি জটিল ভাষায় এসব পর্যবেক্ষণ জানানো হয় তা ইডার জন্য ধ্বংসাত্মকভাবে বক্রাঘাতমূলক।

এ অনুচ্ছেদের প্রথম বাক্যটিতেই রয়েছে সেইসব বৈশিষ্ট্য যা এর রচনাশৈলীকে শিশুর ভাষার বিপরীত মেরুতে অবস্থান করিয়েছে। বাক্যটি শুরু হয় কর্মবাচ্য দিয়ে (“অবশ্যই ধরে নেয়া যাবে না”), এরপর আছে আরেকটি নাস্তিবাচক (“যোগ্যতা অর্জন করে নি”), মূর্ত অথবা ঘরোয়া শব্দের চেয়ে বরং বহু-আক্ষরিক (polysyllabic) ভাববাচক বিশেষ্যের (“বিরতি”, “অভিপ্রায়”) প্রাধিকার থাকে, আর মার্জিতভাবে প্রতিসম যুগলের (“বিজয়োল্লাসিত প্রবেশ ও শ্বাসরুদ্ধকর বিরতি”, “ছাদের … থেকে … বুটের আঙ্গুল পর্যন্ত”) প্রতি পক্ষপাত থাকে। পুরো বাক্যটির গঠন, ব্যাকরণবিদগণ যাকে বলেন, পর্যাবৃত্ত — অন্য কথায়, জড়ো করা সকল তথ্য মাথায় ধারণ করে মূল প্রসঙ্গ (যা হচ্ছে এই যে ইডার আপাত উদ্বেগ পুরোটাই লোক দেখানো) প্রদানকারী ক্লিনচিং ক্লোজের জন্য আপনাকে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এর ফলে জেমস পড়া কষ্টসাধ্য কিন্তু অভিজ্ঞতাপ্রদ: বাক্যের মাঝে মাথা নাড়লেই আপনি হারিয়ে যাবেন।

সাদৃশ্য (parallelism) ও বিরোধালঙ্কার(antithesis) এর প্রতি তাঁর অনুরাগ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, আর এ উদ্ধৃত অংশে বিশেষভাবে ফলপ্রসু। “মাঝে মাঝে তিনি বসলেন এবং মাঝে মাঝে উদ্বেলিত হলেন”, “নিন্দা করার মতো এত কিছু পেলেন যে আশা করার মতো অনেক কিছু রেখে গেলেন”, “তার পরিদর্শনে আসাটা পরিচ্ছদের মতোই ভাল ছিলো; আচরণটা– মিসেস উইক্স যেমন একবার বলেছিলো– এক জোড়া পর্দার মতোই ভাল ছিলো”। নিপুণভাবে ভারসাম্যকৃত এসব বাক্য কাঠামো ইডার প্রতিশ্রুতি ও কাজ, উদারতার ভান ও  প্রকৃত স্বার্থপরতার মধ্যকার বিরোধকেই তুলে ধরে।

অলস ও অনভিজ্ঞ কথাশিল্পীর সাধারণতম লক্ষণগুলোর একটি হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি ব্যবহারে অসঙ্গতি। জনের গল্প বলা যাক– যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে বলে প্রথম বারের মতো ঘর ছাড়ে। তা সে যেমনভাবে উপলব্ধি করে তার গল্প বলা যাক — জন তার ব্যাগ গুছিয়ে শোবার ঘরটা শেষ বারের মতো দেখে তার বন্ধুদেরকে বিদায় জানাচ্ছে — আর হঠাৎ করে শুধু কয়েকটা বাক্য দিয়ে আমাদেরকে বলা হলো ঘটনাটি সম্পর্কে তার মা কী ভাবছে, শুধু এই কারণে যে এখানে সে প্রসঙ্গটির অবতারণা করা লেখকের কাছে আগ্রহ উদ্দীপক মনে হয়েছিলো; যার পর শুধু জনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে  বর্ণনা চলতে থাকে। অবশ্য এমন কোনো নিয়ম-নীতি নেই যে লেখক চাইলে উপন্যাসের দৃষ্টিভঙ্গি বদল করা যায় না; কিন্তু সেটা নন্দনতাত্ত্বিক পরিকল্পনা বা নীতি অনুযায়ী না করলে পাঠক সম্পৃক্ততা, পাঠক কর্তৃক টেক্সটের অর্থ “তৈরি” ব্যাহত হবে। আমরা চৈতন্যে কিংবা মগ্নচৈতন্যে ভেবে পাই না যে দৃশ্যের এক পর্যায়ে জনের মা কী ভাবছিলো তা আমাদের বলা হলে অন্য সময়ে তার মনে প্রবেশের অধিকার আমাদের কেন দেয়া হয় নি। যে মা সে মাত্রা পর্যন্ত জনের উপলব্ধির পাত্রী ছিলো সে হঠাৎ করে নিজের অধিকারে বিষয়ে পরিণত হয়েছে, কিন্তু অসম্পূর্ণরূপে উপলব্ধিজাত একজনে। আর মায়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে আমাদের প্রবেশাধিকার দিলে বাবারটাতেও নয় কেন?

বর্ণনাকে একক দৃষ্টিভঙ্গিতে সীমাবদ্ধ রেখে বস্তুত এক ধরনের তীব্রতা ও ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি লাভ করা যায়– অথবা জেমসের সে রকমই নিশ্চিত বিশ্বাস ছিলো। কিন্তু মেজির দৃষ্টিকোণ থেকে বিচ্যূত না হয়ে যে বিচার মেজি করতে অপারগ হবে, ইডার উপর সে পূর্ণ বয়সী বিচার করার জন্য কত মুন্সিয়ানার সাথেই না তিনি মিসেস উইক্সকে ব্যবহার করেন । ইডার আচরণ এক জোড়া পর্দার
মতো ভাল হওয়ার ব্যাপারে মন্তব্যটি মেজি আত্মস্থ করে এক ধরনের প্রশংসা হিসেবে, অন্যদিকে পাঠক একে তীক্ষ্ম সমালোচনা হিসেবে ব্যাখা করে নেয়। একইভাবে ইডার ঘাড় ও কাঁধ-কাটা পোশাক সম্পর্কে মিসেস উইক্সের পর্যবেক্ষণ ঈর্ষা ও নৈতিক অননুমোদন দ্বারা প্ররোচিত থাকে, অন্যদিকে নারী বক্ষ উন্মোচনে কোনো যৌন তাৎপর্য্য না দেখে গলরেখার নিচু অবস্থান ও তার মায়ের আসার স্থায়িত্বকালের মধ্যকার অনুপাত দ্বারাই শুধু মেজি আহত হয়।



গল্পের পরের দিকে মেজি যখন শৈশব থেকে কৈশোরে পৌঁছায় তখন তার পূর্ণ বয়স্ক সম্পর্ক যেদিকে গড়ায় তার ব্যাপারে উম্মেষকারী চেতনার কাছে এমন নিস্পাপতা হার মানে, কিন্তু ভাষা ও দৃষ্টিভঙ্গির ব্যবধান কখনো ঘুচায় না, আর মেজি কী জানতো সে প্রশ্নের কখনো পুরোপুরি সমাধান হয় না। কীটস বলেছেন, “সৌন্দর্যই সত্য,”। আর মহান রাশিয়ান চিহ্নশাস্ত্রবিদ(semiotician), জুরি লটম্যান বলেছেন, “সৌন্দর্যই তথ্য”, যে সূত্র আধুনিক মনের সাথে আরো বেশি খাপ খায়। হেনরি জেমস যিনি সত্যিকার অর্থে ইংরেজি ভাষায় প্রথম আধুনিক ঔপন্যাসিক, তিনি বিশ্বাস করতেন না যে মানব অভিজ্ঞতার অন্তিম সত্য কখনো প্রতিষ্ঠিত করা যায়, কিন্তু তিনি কথাসাহিত্যে এক ধরণের কৌশল বিকশিত করেছিলেন যা প্রতিটি ফাটলকে তথ্যের আকরিকে ভরিয়ে তুলেছিলো।


আগের পর্ব                                                                                                                               পরের পর্ব




Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*