নিমজ্জন
-শাহীনুর ইসলাম
সুদূর উত্তর মেরুর
স্বল্পায়ু অথচ হীরকোজ্জ্বল গ্রীষ্মের মতো
কিংবা আফ্রিকান হাসির ঝকঝকে দাঁতের মতো
আকাশের হৃদয় জুড়ে
তারকাখচিত উর্বশী এইসব রাত্রি
কখনো আমার ছিল না।
অন্তঃপুরে টিউলিপের চোখ ধাঁধাঁনো উদ্ভাস,
শরতের ঝকমারি বর্ণের আতসবাজি
চোখের পাতা ফেলতে না ফেলতেই আমার থাকে না আর।
আঁধারে বরফ-গলা গহ্বর থেকে
কাস্তের মতো উঁচিয়ে ওঠা চাঁদও
তৃতীয়া তিথির অধরে তার
ফোটায় না ফসলের হাসি;
জলছবির মায়াবী প্রলোভনে তবু
মিথ্যে নিমজ্জিত আছি আমি
এইসব বর্ণ, গন্ধ, জোছনায়।
শুধু শৈশব দূরত্বে আছে হৃদয়ের যে বাঁশি
আজও বাজে তা কাশবনের কানে কানে,
দোলা দিয়ে নিয়ে যায় ভোলা পথের কিনারে
ভৈরবী, দরবারি কানাড়ার সুরতরঙ্গে,
অস্ফূট আধো বোলের বিমূঢ় বিস্ময়ে।
সে সুর নেভে না দমকা হাওয়ায়,
সে ভাষা হারায় না কালের স্রোতে;
শুধু লেগে থাকে পাকুড়ের শাখায় শাখায়
পৌষ ভোরের কিশোর ঘুম হয়ে,
কিংবা মিশে থাকে আঁধারের গায়ে
বৈশাখি আকাশের নক্ষত্র হয়ে।
অস্ফূট আধো বোলের বিমূঢ় বিস্ময়ে।
সে সুর নেভে না দমকা হাওয়ায়,
সে ভাষা হারায় না কালের স্রোতে;
শুধু লেগে থাকে পাকুড়ের শাখায় শাখায়
পৌষ ভোরের কিশোর ঘুম হয়ে,
কিংবা মিশে থাকে আঁধারের গায়ে
বৈশাখি আকাশের নক্ষত্র হয়ে।
Excellent
Thanks Apa.