কথাসাহিত্যের শিল্পরূপ: চেতনা প্রবাহ রীতি




কথাসাহিত্যের শিল্পরূপ

মূল: ড্যাভিড লজ

অনুবাদ: শাহীনুর ইসলাম


চেতনা প্রবাহ রীতি


মিসেস ডালওয়ে বললো সে নিজেই ফুলগুলো কিনবে। কারণ লুসি তার জন্য নিজের কাজ ফেলে এসেছে। দরজাগুলোর কব্জা খুলে ফেলা হবে। রুমপেলমায়েরের লোকেরা আসছে। আর তখন ক্লারিসা ডালওয়ে ভাবলো কী চমৎকার সকাল — সতেজ যেন সাগরবেলায় শিশুদের জন্য উৎসারিত।
কী চমৎকার দুষ্টামি! কী সুন্দর ডুব দেওয়া! সব সময় তার এ রকম মনে হতো, যে শব্দ সে এখন শুনতে পাচ্ছে কব্জাগুলোর সেই খানিকটা ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দে যখন ফরাসি জানালা দ্রুম করে খুলে বুরটোনের মুক্ত বাতাসে নিমজ্জিত হতো। কী সতেজ, কী শান্ত, অবশ্য এর চেয়েও স্থির ছিলো সকাল বেলার হাওয়া; ঢেউয়ের ঝাপটার মতো; ঢেউয়ের চুম্বন; কনকনে ঠাণ্ডা ও তীক্ষ্ম অথচ (সে সময় তার মতো আঠার বছরের মেয়ের জন্য) গুরুগম্ভীর, খোলা জানালার ধারে দাঁড়িয়ে সে অনুভব করলো যে অদ্ভূত কিছু একটা হতে যাচ্ছে; ফুলগুলোর দিকে তাকাচ্ছে, কুণ্ডলীকৃত ধোঁয়া নির্গমণকারী গাছগুলোর দিকে তাকাচ্ছে আর দাঁড়কাকগুলো উঠছে, নামছে; দাঁড়াচ্ছে এবং তাকাচ্ছে যে পর্যন্ত না পিটার ওয়াল্স বললো, “শাক-সবজির মধ্যে ধ্যানমগ্ন?” — তাই কি? — “ফুলকপির চেয়ে মানুষকে আমি বেশি পছন্দ করি” — তাই কি? কোনো এক সকালের নাস্তায় পিটার অবশ্যই এটা বলে থাকবে যখন ডালওয়ে ঘাটে গিয়েছিলো — পিটার ওয়াল্স। আজকালকার কোনো এক সময়, জুন বা জুলাইয়ে পিটার ভারত থেকে ফিরে আসবে, ডালওয়ে তা ভুলে গেছে, কারণ পিটারের চিঠিগুলো ভয়ঙ্করভাবে নীরস ছিলো; তারই একটা কথা মনে ছিলো; তার চোখ, পকেট চাকু, হাসি, বদমেজাজ আর, হাজারে হাজারে জিনিস যখন চরমভাবে উধাও হয়ে গেছে — তখন কী অদ্ভূত! — বাঁধাকপি সম্পর্কে এ রকম কয়েকটা কথা।

ভার্জিনিয়া ঊল্ফ মিসেস ডালওয়ে (১৯২৫)



মানব মনে চিন্তা ও সংবেদনের অবিরাম প্রবাহের বিশিষ্টতা প্রদান করতে “চেতনা প্রবাহ রীতি” শব্দসমষ্টি হেনরির মনস্তত্ববিদ বন্ধু উইলিয়াম জেমস উদ্ভাবন করেন । পরে সাহিত্য সমালোচকেরা তা ধার করেন বিশেষ ধরনের আধুনিক কথাসাহিত্যকে বর্ণনা করতে, যে সাহিত্যে অন্যান্যদের মধ্যে জেমস জয়েস, ডরোথি রিচার্ডসন ও ভার্জিনিয়া ঊল্ফ প্রদর্শিত এ প্রক্রিয়াকে অনুকরণের প্রয়াস আছে।
অভিজ্ঞতার অন্তর্গত চিত্রায়নের জন্য উপন্যাস অবশ্য এমনিতেই উল্লেখযোগ্য। কোজিটো, আর্গো সাম (“আমি চিন্তা করি, তাই আমি আছি”) এর আদর্শ হতে পারে, যদিও ঔপন্যাসিকের কোজিটো এর মধ্যে শুধু যুক্তিবিচারই নেই আবেগ, সংবেদন, স্মৃতি ও অবাধ কল্পনাও আছে। সাহিত্য আঙ্গিক হিসেবে উপন্যাসের বিকাশের শুরুতে ডিফোর আত্মজীবনীকাররা এবং রিচার্ডসনের পত্র লেখকেরা অন্তদর্শন নিয়ে আচ্ছন্ন ছিলেন। জেইন অস্টিন থেকে শুরু করে জর্জ এলিয়ট পর্যন্ত উনিশ শতকের ধ্রুপদী উপন্যাসে সামাজিক জীব হিসেবে চরিত্রসমূহের উপস্থাপনা তাদের নৈতিক ও আবেগীয় অন্তর্জীবনের সূক্ষ্ম ও অনুভূতিপ্রবণ বিশ্লেষণ দ্বারা সংযোগ ঘটানো হয়েছে। শতাব্দীর শেষ নাগাদ অবশ্য (হেনরি জেমসের বেলায় আপনি তা দেখতে পারবেন) অভিজ্ঞতার সবটুকু অন্যদেরকে জানাতে অক্ষম ব্যক্তিসত্ত্বাসমূহের একান্ত, ব্যক্তিক চেতনায় বাস্তবতা ক্রমবর্ধমানহারে চিহ্নিত হয়। বলা হয়েছে যে চেতনা প্রবাহ রীতির উপন্যাস দার্শনিক মতবাদ, আত্মজ্ঞানবাদের সাহিত্য রসমণ্ডিত অভিব্যক্তি যে মত অনুযায়ী নিজের অস্তিত্ব ব্যতীত কোনো কিছুই নিশ্চিতভাবে বাস্তব নয়; কিন্তু আমরাও সমান উত্তমরূপে যুক্তি দেখাতে পারি যে কথাসাহিত্য হলেও অন্যান্য মানুষের অন্তর্জীবনে কাল্পনিক প্রবেশাধিকার প্রদান করে সেই ভীতিকর প্রকল্প থেকে এটিই আমাদেরকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে থাকে।
নিঃসন্দেহে এ রকম উপন্যাসের প্রবণতা থাকে চরিত্রগুলোর জন্য সহানুভূতি সঞ্চার করা, যে চরিত্রগুলোর চিন্তা কখনো কখনো যতই অসার, স্বার্থপর কিংবা নীচ হোক না কেন, তাদের ভেতরের সত্তা দেখানোর জন্য উম্মোচিত করে রাখা হয়; কিংবা অন্যভাবে বলতে গেলে সম্পূর্ণরূপে সহানুভূতিহীন চরিত্রের মনে অনবরত নিম্মজ্জন, লেখক ও পাঠক উভয়ের জন্য অসহনীয় হবে। মিসেস ডালওয়ে বিশেষভাবে মজাদার প্রাসঙ্গিক এক দৃষ্টান্ত, কারণ এর নায়িকাও ভার্জিনিয়া ঊল্ফের প্রথম উপন্যাস, দ্য ভয়েজ (১৯১৫) এর ছোট একটা চরিত্র হিসেবে হাজির হয়। ব্রিটিশ উচ্চবিত্ত শ্রেণীর উন্নাসিক ও প্রতিক্রিয়াশীল সদস্য হিসেবে অত্যন্ত ব্যঙ্গাত্মক ও অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তারকারী চিত্র প্রদান করতে সেখানে আরো বেশি প্রথাগত লেখকের কথন রীতি ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, মিসেস ডালওয়ে এখানে তার আগের রূপে প্রস্তুতি নিচ্ছেন অ্যাম্ব্রোজ নামে এক পণ্ডিত ও তার স্ত্রীর সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য:

মাথাটা একটু একপাশে রেখে মিসেস ডালওয়ে অ্যাম্ব্রোজকে মনে করার যথাসাধ্য চেষ্টা করলো — এটা কি বংশ নাম? — কিন্তু ব্যর্থ হলো। সে যা শুনেছে তাতে হালকা অস্বস্তি বোধ করলো। সে জানে যে পণ্ডিতরা যে কাউকে বিয়ে করে — পড়ার আড্ডায় ফার্মে তারা যে মেয়েদের দেখা পায়; কিংবা ছোট্ট শহরতলীর নারীদের যারা নারাজ হয়ে বলে, “আমি অবশ্যই জানি আমার স্বামীকেই তুমি চাও, আমাকে নয়।” কিন্তু এ পর্যায়ে হেলেন এলে মিসেস ডালওয়ে স্বস্তির সাথে দেখলো যে চেহারায় একটু খামখেয়ালীপনা থাকলেও সে অপরিস্কার নয়, নিজেকে ভালভাবেই তুলে ধরেছে, আর তার কণ্ঠস্বরে নিয়ন্ত্রণ আছে, ভদ্রমহিলার চিহ্ন হিসেবে যা সে ধারণ করে।



মিসেস ডালওয়ে কী ভাবছে তা আমাদেরকে দেখানো হয়েছে, কিন্তু যে রচনাশৈলীতে তার চিন্তা-ভাবনা জানানো হয় তা সেই চিন্তা-ভাবনা ও তাকে বক্রাঘাতমূলক (ironical) দূরত্বে রেখে সেগুলোর উপর নীরব বিচার চাপায়। প্রমাণ আছে যে ভার্জিনিয়া ঊল্ফ যখন এ চরিত্রটি নিয়ে আবার লেখা শুরু করেন, তখন তা আসলেই একই আপাত-ব্যঙ্গাত্মক অভিপ্রায় নিয়ে করেন; কিন্তু সে সময় নাগাদ তিনি চেতনা প্রবাহ রীতির উপন্যাসের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন, আর এ রীতিটি অপরিহার্যভাবে তাকে ক্লারিসা ডালওয়ের আরো বেশি অনুভূতিশীল চিত্রের দিকে চালিত করে।
গদ্য সাহিত্যে চেতনাকে তুলে ধরার দুটি প্রধান কৌশল আছে। একটা হচ্ছে অন্তর্গত স্বগতোক্তি (interior monologue), যেখানে ডিসকোর্সের ব্যাকরণগত বিষয়টি হচ্ছে “আমি”, আর চরিত্রের ভাবনা-চিন্তাগুলো যেভাবে আসে তাতে আমরা যেন সেগুলো ভাষায় প্রকাশ করতে শুনে ফেলি। পরের সেকশনে এ রীতির কথা আলোচনা করবো। অন্য রীতিটি হচ্ছে মুক্ত পরোক্ষ রীতি যা অন্তত জেইন অস্টিনের মতো দূরে তাকালেও দেখা যায়, কিন্তু ঊল্ফের মতো আধুনিক ঔপন্যাসিকরা সদা-বর্ধমান পরিসরে ও শিল্পনৈপুণ্যে এর প্রয়োগ ঘটান। এতে চিন্তা থাকে পরোক্ষ উক্তিতে (নাম পুরুষে, অতীত কালে) কিন্তু যে ধরনের শব্দভাণ্ডার চরিত্রের সাথে মানায় তার ব্যবহার থাকে, আর “সে ভাবলো,” “সে ভেবে পেলো না,” “সে নিজেকে প্রশ্ন করলো” ইত্যাদির মতো কিছু কিছু জুড়ে দেওয়া অংশ বাদ যায়। এর ফলে আরো বেশি আনুষ্ঠানিক কথন রীতির প্রয়োজন হয়। এতে চরিত্রের মনোজগতে নিবিড়ভাবে প্রবেশের ভ্রম সঞ্চারিত হয়, তবে ডিসকোর্সে লেখকের অংশগ্রহণ সম্পূর্ণরূপে সমর্পণ করতে হয়।
“মিসেস ডালওয়ে বললো সে নিজেই ফুলগুলো কিনবে,” এটি হচ্ছে উপন্যাসটির প্রথম বাক্য: কথক হিসেবে লেখকের ভাষ্য, কিন্তু নৈর্ব্যক্তিক ও দুর্বোধ্য ভাষ্য, যা কথক ব্যাখ্যা করে না মিসেস ডালওয়ে কে কিংবা কেনই বা তার ফুল কেনা দরকার। পাঠককে চলমান জীবনের (আমরা ক্রমশ ধরে নেয়ার প্রক্রিয়ায় নায়িকার জীবনীকে জোড়া লাগাই) মধ্যখানে আকস্মিকভাবে নিমজ্জিত করাটা “প্রবাহ” হিসেবে চেতনার উপস্থাপনাকে প্রতিনিধিত্ব করে। পরের বাক্য, “কারণ লুসি তার জন্য নিজের কাজ ফেলে এসেছে,” মুক্ত পরোক্ষ রীতি গ্রহণ করে এবং “মিসেস ডালওয়ে চিন্তা করলো” এর মতো অনুপ্রবেশকারী লেখকের জুড়ে দেয়া অংশকে বাদ দিয়ে কথনের কেন্দ্রবিন্দুকে চরিত্রের মনোজগতে নিয়ে যায়; মিসেস ডালওয়ে যেমনটা করে তেমনই কাজের মেয়েকে তার কাজ অনুযায়ী না ডেকে প্রথম নাম ধরে পরিচিতরূপে উল্লেখ করে; আর কার্যকারণঘটিত, কথ্য প্রকাশ রূপকে “নিজের কাজ ফেলে এসেছে” ব্যবহার করে যা মিসেস ডালওয়ের নিজস্ব কথা বলার রীতি। তৃতীয় বাক্যেরও একই রূপ লক্ষ্য করা যায়। চতুর্থ বাক্যটি লেখকের ঢঙের দিকে একটু পিছনে গিয়ে আমাদের জানিয়ে দেয় নায়িকার পূর্ণ নাম এবং গ্রীষ্মকালীন সকালের রূপে তার আনন্দ: “আর তখন ক্লারিসা ডালওয়ে ভাবলো কী চমৎকার সকাল — সতেজ যেন সাগরবেলায় শিশুদের জন্য উৎসারিত।” (ইটালিকস মাইন।)
“কী চমৎকার দুষ্টামি! কী সুন্দর ডুব দেওয়া!” এ আকস্মিক প্রকাশভঙ্গিটি উপরে উপরে অন্তর্গত স্বগতোক্তির মতো দেখায়, কিন্তু ওয়েস্টমিনিস্টারের সকালের প্রতি পরিণত নায়িকার সাড়া নয় তা, যেহেতু ফুল কিনতে বাইরে যায় সে। আঠার বছরের নিজেকে স্মরণ করছে সে, স্মরণ করছে নিজেকে শিশু হিসেবে। কিংবা অন্যভাবে বলতে গেলে ওয়েস্টমিনিস্টারের সকালে জাগরিত “সতেজ যেন সাগরবেলায় শিশুদের জন্য উৎসারিত”, চিত্রকল্পটি তাকে মনে করিয়ে দেয় কীভাবে অনুরূপ রূপক, কীভাবে সাগরে শিশুদের দুষ্টামি তার মনে আসে যখন সে গ্রীষ্মকালীন সকালের সতেজ, শান্ত বাতাসে “নিমজ্জিত হতো”, “ঢেউয়ের ঝাপটার মতো; ঢেউয়ের চুম্বন,” বুরটোনে (গ্রামের কোনো বাড়ি হবে বলে আমাদের ধারণা) যেখানে সে পিটার ওয়ালশ (গল্পের মতো যে কোনো কিছুর প্রথম ইঙ্গিত) নামে একজনের দেখা পায়। বাস্তবতা ও রূপক, বর্তমান কাল ও অতীত কাল সুদীর্ঘ, বিক্ষিপ্ত বাক্যে একত্রে গ্রথিত হয়, প্রতিটি ভাবনা বা স্মৃতি পরবর্তী ভাবনা বা স্মৃতির সূত্রপাত ঘটায়। বাস্তবসম্মতভাবে ক্লারিসা ডালওয়ে তার স্মৃতিকে সব সময় বিশ্বাস করতে পারে না: “শাক-সবজির মধ্যে ধ্যানমগ্ন?” — তাই কি? — “ফুলকপির চেয়ে মানুষকে আমি বেশি পছন্দ করি” — তাই কি?”
বাক্যগুলোকে বিক্ষিপ্ত করাটা মুক্ত পরোক্ষ রীতির লাইসেন্স ছাড়াও সুগঠিত ও মার্জিতভাবে ছন্দোবদ্ধ করা হতে পারে, তবে সেগুলো তাই। চেতনা প্রবাহকে স্পষ্টভাবে না এনে ভার্জিনিয়া ঊল্ফ তাঁর নিজস্ব গীতিময় বাগ্মিতাকে মিসেস ডালওয়ের চেতনা প্রবাহে পাচার করেছেন। এ বাক্যগুলোকে উত্তম পুরুষে স্থান বিন্যাস করলে অনেক বেশি সাহিত্য রসমণ্ডিত শোনাবে এবং কারো এলোমেলো চিন্তা-ভাবনার প্রতিলিপি বলে চালিয়ে দেয়ার মতো বিবেচিত হবে। বাক্যগুলো প্রকৃতপক্ষে আত্মজীবনীমূলক স্মৃতিচারণের বেশ মূল্যবান রচনাশৈলীতে লেখা র মতো শোনাবে:



কী চমৎকার দুষ্টামি! কী সুন্দর ডুব দেওয়া! সব সময় তার এরকম মনে হতো, যে শব্দ সে এখন শুনতে পাচ্ছে কব্জাগুলোর সেই খানিকটা ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দে যখন ফরাসি জানালা দ্রুম করে খুলে বুরটোনের মুক্ত বাতাসে নিমজ্জিত হতো। কী সতেজ, কী শান্ত, অবশ্য এর চেয়েও স্থির ছিলো সকাল বেলার হাওয়া; ঢেউয়ের ঝাপটার মতো; ঢেউয়ের চুম্বন; কনকনে ঠাণ্ডা ও তীক্ষ্ম অথচ (সে সময় তার মতো আঠার বছরের মেয়ের জন্য) গুরুগম্ভীর, খোলা জানালার ধারে দাঁড়িয়ে সে অনুভব করলো যে অদ্ভূত কিছু একটা হতে যাচ্ছে…

ভার্জিনিয়া ঊল্ফের পরের দিকের উপন্যাস, দ্য ওয়েভজ এর অন্তর্গত স্বগতোক্তি আমার মতে এমন কৃত্রিমতায় ভোগে। চেতনা প্রবাহকে সেভাবে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে জেমস জয়েস ছিলেন আরো বেশি সুনিপুণ চিত্রায়নকারী।


আগের পর্ব: নামাবলী                                                                                      পরের পর্ব: অন্তর্গত স্বগতোক্তি




Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*