মূল: ড্যাভিড লজ
অনুবাদ: শাহীনুর ইসলাম
নিরীক্ষাধর্মী উপন্যাস
ব্রাইডজলি, বার্মিংহাম।
দুটো বাজে। রাস্তাগুলো দিয়ে নৈশভোজ শেষে হাজার হাজার জন ফিরে এলো। “আমরা যেতে চাই, চাপ দিতে চাই,” ওয়ার্কস ম্যানেজার ডুপ্রেট সাহেবের ছেলেকে বললো। “তাদেরকে আমরা বলছি — চলো চালিয়ে যাই, চলো উপাদানগুলো বের করে আনি।”
হাজার হাজার জন যে ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো সেখানে তারা তাদের নৈশভোজ থেকে ফিরে এলো।
“আমি তো সব সময় তাদের নিয়ে ব্যস্ত, কিন্তু তারা আমাকে চেনে। তারা জানে আমি তাদের কাছে বাবা-মা। তারা বিপদে পড়লে তাদের তো আমার কাছেই আসতে হয়। আর তারা সুন্দর সুন্দর কাজ করে, সুন্দর সুন্দর কাজ। তাদের জন্য যে কোনো কিছুই করবো, আর তারা সেটা জানে।”
লেইদ মেশিনের কাজের শব্দ এ ফ্যাক্টরিতে আবার শুরু হলো। শয়ে শয়ে পুরুষ, মেয়ে রাস্তা ধরে বাইরে গেলো। কেউ কেউ ডুপ্রেট ফ্যাক্টরিতে উপস্থিত হলো।
কেউ কেউ এ ফ্যাক্টরিতে নৈশভোজের জন্য লোহা গলিয়ে দ্রব্যাদি তৈরির কারখানায় থেকে গেলো। গোল করে কাঁসারির চারপাশে তারা বসে পড়লো।
“আর মেকি নাক ও সবুজ দাঁড়ি পরে পাইপের দোকানের দরজা পিছনে রেখে দরজার প্রবেশপথের দোকানগুলোর পাশে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। ভেতরে অ্যালবার্ট হাসছিলো আর হাসছিলো যখন পাইপের দোকানের ভেতর দিয়ে আসে আর আমি অ্যালবার্টকে টানতে দেখি, কিন্তু আমি তেমন একটা খেয়াল করি নি যতক্ষণ না শুনলাম, ‘তুমি কি গেইটস করতে গিয়ে আর ভাল কিছু করতে পারছো না, শুধু নিজেকে বোকা বানাও? আর সে অ্যালবার্টকে বলে, ‘মিলিগানের জন্য ওখানে দাঁড়িয়ে কী করছো?’ আর আমি এত অবাক হয়েছিলাম যে নাকটি খুলে ফেলতে পারলাম না, এত হঠাৎ করে হয়ে গেলো। আমি কখনো তা ভুলবো না।
হেনরি গ্রীন লিভিং (১৯২৯)
“নিরীক্ষাধর্মী উপন্যাস” বাক্যাংশটি জোলা উদ্ভাবন করেন তাঁর সমাজতত্ত্ব নির্ভর কথাসাহিত্য ও প্রাকৃতিক জগতের বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের মধ্যে সমকক্ষতা দাবি করার জন্য, কিন্তু এ তুলনা নিরীক্ষণের কাছে ধোপে টিকবে না। কথাসাহিত্যের কাজ সমাজ সম্পর্কে হাইপোথিসিসের মিথ্যা প্রতিপাদন কিংবা সত্যাসত্য যাচাই করার কোনো নির্ভরযোগ্য রীতি নয়, আর অন্যান্য শিল্পে যেমন, তেমনই সাহিত্যে “নিরীক্ষা” বেশি কাজের বলে “পরিচিতিরহিতকরণ” এর স্থায়ী কাজের প্রতি প্রগতিশীল রীতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নিরীক্ষাধর্মী উপন্যাস সেটাই যা — কথনের আয়োজনে হোক কিংবা রচনাশৈলীতে হোক কিংবা উভয়ক্ষেত্রে হোক– বাস্তবতা চিত্রায়নের গৃহীত উপায় থেকে স্পষ্টভাবে সরে আসে– সেই বাস্তবতা সম্পর্কে আমাদের বোধকে পরিবর্তন করতে কিংবা উঁচু মাত্রায় নিয়ে যেতে।
আধুনিকতাবাদের সুবর্ণ সময়– বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশক –নিরীক্ষাধর্মী কথাসাহিত্যের জন্য উল্লেখযোগ্য — ডরোথি রিচার্ডসন, জেমস জয়েস, গার্ট্রুড স্টাইন ও ভার্জিনিয়া ঊল্ফ শুধু এ কয়েকটি নাম মনে আসে। একজন লেখকের নিরীক্ষামূলক কাজ অবশ্য অন্যান্যরা দ্রুত আত্মীকরণ করে ভিন্নভাবে ব্যবহার করেন, তাই বিশেষ কোনো কৌশল আবিস্কারের কৃতিত্ব একক কোনো লেখককে প্রদান করা সাধারণত কঠিন। হেনরি গ্রীনের লিভিং এর শুরুটা রীতির দিক দিয়ে অভ্রান্তভাবে সে সময়কার। সুচারু বাঁক (transition) কিংবা ব্যাখ্যমূলক সংযোগ ছাড়াই কথন থেকে সংলাপে গিয়ে আবার কথনে ফিরে এসে ডিসকোর্সের আকস্মিক রদবদল পিকাসোর কিউবিস্ট সংরচনের, আইজেনস্টাইনের সিনেমাটিক জাম্প-কাটের, “ওয়েস্ট ল্যান্ড” এর ধ্বংসাবশেষের বিপরীতে টি. এস. এলিয়টের খণ্ডাংশের (fragment) সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এবং হয়তো সরাসরি সেগুলো দ্বারা প্রভাবিত। খণ্ডাংশ, থেমে যাওয়া, মন্তাজ ঊনবিংশ-বিংশ শতকের নিরীক্ষাধর্মী শিল্পে সাধারণ ব্যাপার।
কিন্তু লিভিং এর একটা বৈশিষ্ট্য আছে যে এটি হেনরি গ্রীনের মৌলিক উদ্ভাবন ছিলো। আর সেটা হলো ন্যারেটিভ ডিসকোর্স থেকে পদাশ্রিত নির্দেশক সুনিয়ন্ত্রিতভাবে বাদ দেওয়া। এটা তো নিরঙ্কুশভাবে সঙ্গতিপূর্ণ নয় (এ প্যাসেজে লোকজনগুলো “গোল করে ব্রেজিয়ারের চারপাশে বসে পড়লো”), কিন্তু অন্য প্রভাব, আরো পরিচিত ধরনের ঘনীভবন (যেমন–সমাপিকা ক্রিয়া ও বিশেষ্য এবং ইন্দ্রিয়জাত কিংবা আবেগজাত ভারের বিশেষণ বাদ দেওয়া) কার্যকর করে পাঠকের মনোযোগ কাড়তে এটি পর্যাপ্তরূপে সতর্ক ও পূর্ণাঙ্গ। যেখানে প্রথাগতভাবে সুচারু, মার্জিত কথন গদ্যে পড়া হবে, “এখন দুটো বাজে। হাজার হাজার কর্মী রাস্তা দিয়ে তাদের নৈশভোজ সেরে ফিরে এলো,” কিংবা এমনকি আরো অপ্রচলিত সাহিত্য রীতিতে, “কাপড়ের টুপি পরে হাজার হাজার ফ্যাক্টরির হাত ও স্কার্ফ পরে হাজার হাজার মাথা নোংরা রাস্তার মধ্য দিয়ে তাড়াতাড়ি করে মধ্যাহ্নের খাবার খেয়ে দ্রুত ফিরে এলো,” হেনরি গ্রীন লেখেন: “দুটো বাজে। রাস্তাগুলো দিয়ে হাজার হাজার জন ফিরে এলো।”
হেনরি গ্রীন ছিলো হেনরি ইয়োর্কের কলমি নাম, যাঁর পরিবার বার্মিংহামে এক প্রকৌশল ফার্মের মালিক ছিলো। দোকানে ফ্লোর থেকে বিভিন্ন বিভাগে সফলভাবে কাজ করে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়ার জন্য হেনরি প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন; এ প্রক্রিয়ায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজের ধরন সম্পর্কে মূল্যহীন বোঝাপড়া এবং সেখানে কাজ করা নারী-পুরুষদের জন্য প্রগাঢ় মায়া-মমতা ও সম্মান অর্জন করেন। লিভিং সময়ের বিশেষ মুহূর্তে ইংরেজ কর্মজীবী শ্রেণীর জীবনের চমৎকার রূপায়ন; ভাবাবেগপূর্ণ হওয়া ছাড়াই কোমল।
কথাসাহিত্যে কর্মজীবী শ্রেণী সম্পর্কে সত্যতার সাথে লেখার একটা সমস্যা, যা ভিক্টোরিয়ান যুগের সদিচ্ছাপ্রণোদিত শিল্প-সম্পর্কিত (industrial) উপন্যাসে বিশেষভাবে সুস্পষ্ট, তা হলো উপন্যাস নিজেই সহজাতভাবে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আঙ্গিক, আর এর কথন কণ্ঠ প্রতিটি প্রকাশময়তায় এই পক্ষপাত প্রদর্শনের যোগ্য। কথকের ভদ্র, সুবিদিত, শিক্ষিত ডিসকোর্স এবং চরিত্রসমূহের রূঢ়, কথ্য, আঞ্চলিক ভাষার মধ্যকার বৈসাদৃশ্যে উপন্যাস যে অভিজ্ঞতাকে বিধৃত করে তার প্রতি দয়াপরবশ মনে না হওয়ানো উপন্যাসের জন্য কঠিন। যেমন– হার্ড টাইমজ এর দৃশ্যটি ডিকেন্স যেভাবে মোকাবেলা করেছেন তা বিবেচনা করুন, যেখানে স্টিফেন ব্ল্যাকপুল ট্রেড ইউনিয়ন ধর্মঘটে যোগদান করতে অস্বীকৃতি জানায় অনেক পরিশ্রম করতে হবে এই কারণে:
“স্টিফেন ব্ল্যাকপুল,” চেয়ারম্যান উঠে বললেন, “আবার ভেবে দেখো। অন্য বন্ধুরা তোমাকে ত্যাগ করে চলে যাওয়ার আগে আর একবার ভেবো দেখো, ছেলে।”
সবাই গুঞ্জন তুললো একইভাবে, যদিও কেউ কোনো শব্দ উচ্চারণ করলো না। সবার চোখ স্টিফেনের মুখে নিবদ্ধ হলো। তার দৃঢ়প্রতিজ্ঞার অনুশোচনা করা মানে সবার মনকে ভারমুক্ত করা। তার আশপাশে তাকিয়ে জানলো যে এটা তেমনই ছিলো। তার হৃদয়ে তাদের জন্য দানা পরিমাণ রাগ ছিলো না; তাদের উপরের দুর্বলতা ও ভুল ধারণার বহু গভীরে সে তাদের জানতো, যেমনটা তাদের সহশ্রমিকরা ব্যতীত কেউ জানতো না।
“ওটা নিয়ে আমি একটু ভেবেছি, স্যার। একটু ভেতরে আসি। আমার সামনে যা আছে তার মধ্য দিয়েই আমাকে যেতে হবে। আমাকে অবশ্যই ছুটি নিতে হবে।”
ইচ্ছাপ্রণোদিতভাবে কথন ডিসকোর্সকে বিকৃত করে — যেমনটা গ্রীন নিজেই বলেছেন– মিডল্যান্ডের আঞ্চলিক ভাষার ঠাসাঠাসি ভাব প্রদান করে এবং “সহজ মার্জিত ভাব” এড়িয়ে লিভিং এর লেখকের উক্তি ও চরিত্রের উক্তির মধ্যে এমন বেদনাদায়ক সুস্পষ্ট ফারাক ঘুচিয়ে দিতে চেষ্টা করেন গ্রীন। এমন নয় যে কথন বাক্যগুলো চরিত্রগুলোর সংলাপের মতো একই রেজিস্টারে। প্রথমটায় নৈরাশ্যজনক, ব্যবহারিক অর্থনীতি রয়েছে যা শিল্প-কারখানা কর্তৃক কর্মীদের উপর আরোপিত যান্ত্রিক, পুনরাবৃত্তিমূলক রুটিন প্রকাশ করে, চরিত্রগুলোর উক্তি যাকে এক ধরনের প্রতিরোধ প্রদান করে কাব্যিক বাহুল্যে (“সুন্দর কাজ, সুন্দর কাজ”) প্রবাদমূলক বাক্যংশে (“তাদের কাছে বাবা-মা”) এবং গোপন সংকেতে (ওয়ার্কস ম্যানেজারকে তার রীতি সম্পর্কে সতর্ক করতে ব্যবহৃত বাক্যাংশ দিয়ে জানা যায়, “টিস ’ইম”)। রচনাশৈলী নিয়ে এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যথেষ্ট অসম্ভাব্যভাবে একজন পুরানো এতোনিয়ান তা-ই সৃষ্টি করেন যা কারখানা ও কারখানা কর্র্মীদের নিয়ে এ যাবৎ কালের লেখা যুক্তিপূর্ণভাবে সর্বোত্তম উপন্যাস।
গ্রীনের মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে মেনে নেওয়া ও মূল্যায়ন করা সহজ, যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার আবিষ্কার করার মতো অনুকরণমূলক কিংবা প্রকাশমূলক উদ্দেশ্য আছে। আরো সমস্যাজনক হলো প্রকরণগত বিচ্যূতি যা গদ্যের ভাষা ও এর স্বাভাবিক ক্রিয়ার মধ্যে স্বেচ্ছাচারীতামূলক, কৃত্রিম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যেমন– “লিপোগ্রাম”, যার মধ্যে বর্ণমালার একটা বর্ণ যথাক্রমে বাদ দেওয়া হয়েছে। লাইফ: আ ইউজার’স ম্যানুয়াল এর জন্য সুপরিচিত প্রয়াত ফরাসী ঔপন্যাসিক জর্জ পেরেক লা ডিসপারিসিঁও নামে একটা উপন্যাস লেখেন, যে উপন্যাসে “e” বর্ণ তিনি বাদ দিয়েছেন। এমন নৈপুণ্য ইংরেজির চেয়ে ফরাসী ভাষায় আরো বেশি বিস্ময়কর (যদিও কেউ গিলবার্ট আদেরকে ঈর্ষা করেন না, রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি এখন এটি অনুবাদ করছেন)। সমসাময়িকালের আমেরিকান লেখক ওয়ালটার অ্যাবিশ অ্যালফ্যাবেটিক্যাল অ্যাফ্রিকা নামে একটি উপন্যাস লেখেন, যার অধ্যায়গুলো নিচের চরম কঠিন নিয়ম মেনে চলে: প্রথম অধ্যায়ে শুধু অ দিয়ে শুরু হওয়া শব্দ থাকে {(“Africa again: Albert arrives, alive and arguing about African art, about African angst and also, alas, attacking Ashnati architecture…)“আবার অ্যাফ্রিকা: অ্যালবার্ট এসে পৌঁছে, জীবন্ত ও অ্যাফ্রিকান শিল্প সম্পর্কে যুক্তি দেখায়, অ্যাফ্রিকান দুশ্চিন্তা নিয়ে দেখায় এবং আরো, হায়, অ্যাশান্টি স্থাপত্যের আক্রমণ নিয়ে দেখায়…”}; দ্বিতীয় অধ্যায়ে শুধু B ও A দিয়ে শুরু হওয়া শব্দ আছে, তৃতীয়টাতে শুধু C, B, A; ইত্যাদি, প্রতিটি পরবর্তী অধ্যায় বর্ণমালার অতিরিক্ত বর্ণ দিয়ে শুরু হয়, যে পর্যন্ত না Z এ পৌঁছায়; যার উপর উপন্যাসটি রিভার্স করে এবং সহজলভ্য শব্দের ব্যপ্তি সঙ্কুচিত হয়ে আসে, অধ্যায়ের পর অধ্যায়, প্রারম্ভিক বর্ণের পর প্রারম্ভিক বর্ণ অনুযায়ী যে পর্যন্ত না আবার A তে পৌঁছে।
এসব কর্ম যতটা না পড়ার জন্য হয়তো তার চেয়ে বেশি পড়ে মজা পাওয়ার জন্য। এমন জোরালো ও সর্বগ্রাসী সীমাবদ্ধতা স্পষ্টতই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী উপন্যাস রচনাকে বাধাগ্রস্ত করে তোলে– বিষয়বস্তুগত এবং/কিংবা কথন সারোৎসার দিয়ে শুরু করে, যা এক ধরনের কথন যুক্তি অনুযায়ী ঘটনা এবং নির্দিষ্ট কোনো ভূমিকায় কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর (action and actant) উদ্ভাবনে বিস্তার লাভ করে। আঙ্গিকের স্ব-আরোপিত সীমাবদ্ধতার মধ্যে যে কোনো ধরনের সঙ্গত গল্প বলা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়; আর ধরে নেয়া যায় যে এর উদ্দেশ্য (লেখকের নিজের উদ্ভাবনকুশলতার পরীক্ষায় সন্তুষ্টি ছাড়া) হচ্ছে সেই আশা যা সীমাবদ্ধতাগুলো এক ধরনের আনন্দ প্রদান করবে, যা উদ্ভটের বিপরীতে আনুষ্ঠানিক সমরূপতা অর্জন থেকে উদ্ভূত হয়, এবং এমন অর্থ সৃষ্টির দিকে নিয়ে যায় যা অন্যথায় লেখকের হতো না। এ ব্যাপারে গদ্যের এমন নিরীক্ষা কবিতার খুবই সাধারণ বৈশিষ্ট্য, যেমন– ছন্দ ও পর্ব রীতির অনুরূপ হয়। এটা মনে হয় সীমানার ইচ্ছাকৃত লঙ্ঘন ঘটায়, যে সীমানা সাধারণত ডিসকোর্সের দুটো আঙ্গিককে পৃথক করে, আর বিস্ময়করভাবে চতুর হলেও কথাসাহিত্যের শিল্পরূপে তা “প্রান্তিক” হয়ে দাঁড়ায়।
Be the first to comment